
সামসুন্নাহার,চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আবারও ফিরেছে সোনালী আঁশের দিন।উপজেলার মাঠজুড়ে এখন কাটা পাট শুকানোর ব্যস্ততা।সূর্যের তাপে ঝলমল করছে আঁশ,আর কৃষকদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে সন্তুষ্টির ঝিলিক।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল কাদের বলেন,“পাট চাষ করে এবার প্রথমবারের মতো ধার দেনা ছাড়তে পারছি।সন্তানদের পড়াশোনার খরচ মেটানোও সহজ হচ্ছে।মনে হচ্ছে, পাটই আবার আমাদের আশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
আরেক কৃষক করিম উদ্দিন জানান,প্রতি মণ পাট এ বছর বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকার বেশি দামে।ফলে জমির খরচ মিটিয়েও লাভ থাকছে হাতে।তার কথায়,“আগে ভাবতাম পাটে আর লাভ নেই,কিন্তু এবার মনে হচ্ছে পুরোনো দিন ফিরে এসেছে।”
শুধু কৃষকের ঘরে নয়,স্থানীয় হাটবাজারেও পাটের কদর ফেরায় প্রাণচাঞ্চল্য বেড়েছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন,দেশের ভেতর যেমন চাহিদা আছে,তেমনি বিদেশেও রপ্তানির সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে,পরিবেশবান্ধব আঁশ হিসেবে পাটের গুরুত্ব এখন আরও বেশি।তারা মনে করেন, সরকার যদি পলিথিন ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করে,তাহলে দেশীয় আঁশ শিল্প শুধু কৃষকের ভাগ্যই বদলাবে না—পরিবেশও রক্ষা করবে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা জানান,এবারের সফলতা দেখে আগামী মৌসুমে আরও বেশি কৃষক পাট চাষে ঝুঁকবেন। তিনি বলেন,“কৃষকেরা আশাবাদী হয়েছেন,আর পাটের সেই পুরোনো সোনালী দিন ফিরে আসছে।”