
মোঃ পলাশ শেখ,কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি।
সরকারি প্রচলিত নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদী থেকে যত্রতত্র বালি উত্তোলন করায় একদিকে যেমন কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ ব্যাপক ঝুঁকিতে পড়েছে তেমনি স্থানীয়দের নতুন নতুন জেগে ওঠা চর চাষযোগ্য জমিতে পরিণত হওয়ার আগেই আবারো যমুনায় নিমজ্জিত হচ্ছে।
চলতি বছরের সরকারী বালি মহলের ইজারা ডাকের নিয়ম মোতাবেক কাজিপুর বেশকটি সংরক্ষিত পয়েন্ট নির্ধারণ করে বালি উত্তোলন,সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের নিয়ম রয়েছে। কাজিপুর সদর ইউনিয়নের কাজিপুর সদর মানিকপোটল মৌজার কয়েকটি পয়েন্ট থেকে বালি উত্তোলন করার জন্য সরকারী ভাবে ইজারাদার নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি মোতাবেক নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ থেকে ১ হাজার মিটার দূরে থেকে বালি উত্তোলন ও নদীতীর থেকে ৫ শ মিটার দুরে বালি সংরক্ষণ ও বিক্রির নিয়ম রয়েছে।
এদিকে সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সরকারী নিয়ম না মেনে নদীর তীর সংরক্ষণ থেকে মাত্র ৩ থেকে ৪ মিটার দূরে থেকে শক্তিশালী লোড ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন শত শত বলগেট বোঝাই করে নদীর কিনারে পারে তোলা হচ্ছে। শুধু তাই নয় উত্তেলিত বালি কোন কোন স্থানে নদী তীর ঘেষে বালি রেখে বেচা বিক্রি চলছে। সরকারি নির্ধারিত পয়েন্টের বাইরে অনেকগুলো পয়েন্ট তৈরি করে বালি রেখে বিক্রি করছে। অপরদিকে বালি উত্তোলনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মৌজার বাইরে গোটা কাজিপুরের উত্তরে খাসরাজবাড়ী চর হতে শুরু করে দক্ষিনেশুভগাছা পর্যন্ত অর্ধশত পয়েন্ট থেকে বালি তোলা হচ্ছে। এতে করে নতুন নতুন চর জেগে উঠতে না পারায়স্বরাঞ্চলে আবাদি জমির পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
গুটিকয়েক মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য গোটা কাজিপুরের মানুষকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।বালু খেকদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না অজ্ঞাত কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়। এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)জানান সবেমাত্র জয়েন করেছি তাছাড়া বালু মহালবিষয়ে সব কাগজপত্র হাতে পাই নাই,হাতে পেলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।