
মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু,খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ
বাগেরহাটের শরণখোলায় বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে গেলো দুই দিনে অন্তত ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হঠাৎ করে কুকুরের আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে উপজেলার গ্রামাঞ্চলে।
কুকুরের আক্রমণে আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
তাদের মধ্যে গুরুতর দুজনকে হাসাপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে,স্থানীয় হাসপাতালে প্রায় এক বছর ধরে কোনো অ্যান্টি ব্যারিস ভ্যাকসিন (জলাতঙ্ক টিকা) নেই। ভ্যাকসিন না পেয়ে আহতদের অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ছুটছেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ অথবা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে। এতে চরম ভোগান্তির পাশাপাশি সময় ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে আক্রান্তদের পরিবারকে।
সোমবার ও মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুকুরের কামড়ে আহত হন-লামিয়া বেগম (৬০),রুহুল আমিন (৫৫),আমজাদ হোসেন (৬০),বেল্লাল হোসেন (২১),অহনা (৮),আবু সাইদ (৮),খাদিজা (৬), সিফাত (১২),তাওহীদ হাসান (৮),জিসান (৩),মেহেদী (১৫),ইফাদ (৮),রাফি (১৪),আরিফা (৫)।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক আব্দুল মালেক (রেজা ) ও বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রভাষক নজরুল ইসলাম আকন বলেন,শহর-গ্রাম সবখানেই বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। শিশুরা একা বাইরে বের হলেই তাদের ওপর হামলে পড়ছে কুকুরের দল। বয়ষ্করাও রেহাই পাচ্ছেন না। শিশুদের নিয়ে বেশি আতঙ্কে পড়েছেন অভিভাবকরা।
তারা বলেন,হাসপাতালে এক বছর যাবৎ জলাতঙ্কের টিকা না থাকায় সঠিক চিকিৎসা নিতে পারছেন না আক্রান্তরা। হাসপাতালে দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা। শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিশ্বজিত মজুমদার বলেন,প্রতিদিন ১০-১২ জন করে কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যারা বেশি আক্রান্ত তাদেরকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অ্যান্টি ব্যারিস ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন,আমরা সিভিল সার্জন অফিসে ভ্যাকসিনের চাহিদা দিয়েছি। কিন্তু এখনও পাইনি। ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত বেশি আক্রান্ত যারা, তাদেরকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।